প্রকাশিত: ১২:৫৩:০০ অপরাহ্ণ, ১১ অক্টোবর, ২০২৪
সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
লাস্টনিউজবিডি ১১ অক্টোবর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সম্প্রতি এক বিবৃতিতে দেশে দীর্ঘ সময় অবস্থান না করে প্রবাসে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে প্রশাসন, ব্যবসায়ী মহল এবং মিডিয়া হাউসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, "প্রবাসে অবস্থান করে যারা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো জীবন যাপন করেছেন, তারা এখন দেশে ফিরে এসে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। এসব ব্যক্তিরা প্রশাসন, ব্যবসায়ী মহল এবং মিডিয়া হাউসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খবরদারি করার চেষ্টা করছেন।"
তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবরদারি সম্পর্কে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান এবং স্পষ্ট করে বলেন, "এ ধরনের ব্যক্তিরা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন না।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১৬/১৭ বছর দুর্বিষহ মহাযন্ত্রণার ফ্যাসিবাদী অপশাসন সহ্য করতে গিয়ে অসংখ্য প্রাণ ঝরে যায়, অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করে, চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যায় অনেক নেতাকর্মী। চিরতরে হারিয়ে যায় গণতন্ত্রের পক্ষে জোরালো কণ্ঠস্বরের বিপ্লবী নেতাকর্মীরা। অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে নিজ দেশেই বাস্তুহারা শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে তারা। ৫ আগস্টের বিপ্লবের গুরুত্ববহ ঘটনার পর ১৬ বছর ধরে নিপীড়িত দেশবাসীকে সোনালি ভবিষ্যতের চিন্তায় যখন উদ্বুদ্ধ করছে তখন দলের কয়েকজন স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির সুবিধাবাদী ভূমিকা সম্পর্কে সবাইকে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানসহ বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ৬ মিলিয়ন নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা ও ফরমায়েশি সাজা দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির যবনিকাপাত ঘটানোর আয়োজন করা হয়েছিল। নিপীড়নের চরম অভিঘাত, অপ্রীতিকর ও মর্মপীড়াদায়ক ঘটনার ধারায় নিপীড়নের চাপে জর্জরিত নেতাকর্মীরা যখন অসহায় এবং ধ্বংসের মুখোমুখি ঠিক সেই সময়ে নিজেদের আত্মসুখ বৃদ্ধির জন্য দেশ ও দল ছেড়ে অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমায়। এই দুঃসময়ে অনেকেরই কোন খবর ছিল না। সম্প্রতি ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনুকূল পরিবেশে নিজ স্বার্থ সংরক্ষণ ও স্বার্থ বৃদ্ধির মানসে নিজ অনুকূলে প্রশাসনকে প্রভাবিত করা সহ নানা প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে বলে দল বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছে।
রিজভী বলেন, এক্ষেত্রে জনপ্রশাসন, পুলিশ ও মিডিয়া হাউসকে টার্গেট করে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। অথচ দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের ওপর যখন উত্তরোত্তর ক্রমবর্ধমানভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পৈশাচিক নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছিলো তখন নিজেদেরকে নিরাপদ রাখতে এরা বিদেশে শান্তি ও স্বস্তিতে দিনযাপন করেছে। রাজনৈতিক দুর্যোগের ঘনঘটায় এদের জীবন কেটেছে নিরাপদে। অথচ আওয়ামী ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের পতনের পরেও তাদের সৃষ্ট ক্ষতচিহ্নগুলো এখনও নিরাময় হয়নি। ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনার পেটোয়া বাহিনীগুলোর ছেঁাড়া বুলেট ও ধারালো অস্ত্রে দীর্ঘ দুই মাসের অধিককাল জীবন—মৃত্যুর লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে এখনও প্রতিদিনই কেউ না কেউ মৃত্যুবরণ করছে।
এমতাবস্থায় দীর্ঘ দুঃসময়ে প্রবাসে অবস্থান করে নিজেদের খেয়াল খুশী মতো জীবন—যাপন করে এখন দেশে ফিরে এসে প্রভাব খাটিয়ে আরও বেশী স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টায় তৎপর থেকে প্রশাসন, ব্যবসায়ী মহল এবং মিডিয়া হাউসসহ নানা প্রতিষ্ঠানে খবরদারি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আমি এহেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবরদারি সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। এ সমস্ত ব্যক্তিরা কেউ বিএনপি’র প্রতিনিধিত্ব করে না।
লাস্টনিউজবিডি/জে আই
সারাদিনের শিরোনাম এবং হাইলাইট, প্রতিদিন সকালে সরাসরি আপনার কাছে।
ইমেইল :
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কপিরাইট © ২০২৫লাস্ট নিউজ বিডি